রোববার (১৬ আগস্ট) বিকেলে মাগুরা পৌরসভার দেড়ুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আলমকে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী।
মৃত গৃহবধূ রেশমা (২০) ওই গ্রামের ইরাদ আলীর মেয়ে।
রেশমার মা ফেলা বেগম জানান, ৭ বছর আগে পাশের হাজিপুর ইউনিয়নের অলিধানি গ্রামের নাটা ফকিরের ছেলে আলমের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে দেন।
বিয়ের পর থেকেই রেশমার ওপর কারণে-অকারণে নির্যাতন করে আসছিলেন আলম। একপর্যায়ে গত বছর স্বামীর বাড়ি থেকে তাদের কাছে চলে আসেন রেশমা। পরে মাগুরা শহরের একটি মোজার ফ্যাক্টরিতে কাজ নেয় রেশমা।
রোববার ফ্যাক্টরি থেকে বেতন তুলে দুপুরে বাড়ি ফেরেন রেশমা। এ সময় তারা কেউ বাড়ি না থাকার সুযোগে স্বামী আলম বিকেল ৪টার দিকে এসে রেশমার কাছে বেতনের টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রেশমাকে বেদম লাঠিপেটা করেন আলম। এতে ঘটনাস্থলেই রেশমার মৃত্যু হয়। পরে তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তাদের ৬ বছরের ছেলেকে নিয়ে নিজের বাড়িতে চলে যায় আলম।
পরে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে আলিধানি গ্রামে গিয়ে আলমকে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মিয়া বাংলানিউজকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post