শরীয়তপুর শহরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্বর্ণের দোকানে লুটের ঘটনা ঘটেছে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডাকাতকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা ২৪ ভরি স্বর্ণ ও ১১টি হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে শরীয়তপুর শহরের পালং মধ্যবাজার প্রিয়া গিনিঘর নামে স্বর্ণের দোকানে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
শরীয়তপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (এসএসপি) গোলাম রাব্বানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, রাত ৮টার দিকে শহরের পালং মডেল থানার কাছে পালং মধ্যবাজারে মৃদুল চন্দ্র রায়ের প্রিয়া গিনিঘর নামে স্বর্ণের দোকানে একদল যুবক আসেন। তারা হঠাৎ করে ৮/১০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দোকানে লুট করেন।
এ সময় মালিকের ছেলে শিমুল রায় তাদের বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে জখম করেন ডাকাতরা। পরে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে অটোবাইকযোগে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
খবর পেয়ে পুলিশ আশপাশের সড়কে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ লাইনের সামনের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডাকাত অটোবাইকসহ আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪ ভরি স্বর্ণ, ১১টি হাতবোমা, নগদ ৯ হাজার টাকা, একটি খেলনা পিস্তল, ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি ছুটি উদ্ধার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টায় ডাকাতদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
আটক ডাকাতরা হলেন, শরীয়তপুর সদর উপজেলার স্বর্ণঘোষ গ্রামের করিম খার ছেলে দুলাল খা, উত্তর ভাষানচর গ্রামের ফজলুল হক সরদারের ছেলে আবু বকর সরদার, আংগারিয়া বাগদী বাজার এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদারের ছেলে রাকিব হাওলাদার, পশ্চিম চররোসুন্দী গ্রামের মান্নান সরদারের ছেলে কবির হোসেন সরদার, বাবুল মোল্যার ছেলে সজিব মোল্যা ও হামেদ তালুকদারের ছেলে নিজাম তালুকদার। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, আহত শিমুল রায়কে গুরুতর অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Discussion about this post