বিডি ল নিউজঃ ক্ষমতা কে না চান? যদি ক্ষমতাবান হয়ে থাকেন তবে আপনার বেশ কিছু স্বভাব গড়ে উঠবে। ক্ষমতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলা যায় এটাকে। এখানে দেখে নিন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
১. যখন ক্ষমতাবান হবেন তখন আপনি একমাত্র আপনার দ্বারাই অনুপ্রাণিত হবেন। অন্য কেউ আপনার আদর্শ বলে মনে হবে না। ২০১৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডাম এর প্রফেসর গার্বেন এ ভ্যান ক্লিফ জানান, যারা ক্ষমতাবান তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিজেকেই সর্বোত্তম বলে মনে করেন। এ কারণে তারা নিজেকেই অন্যদের থেকে আলাদা বলে মনে করেন। এ ক্ষেত্রে তারা অন্যদের কাছ থেকে কিছু আশা করেন না। অন্যদের ওপর কোনো বিষয়ে নির্ভর করতে পারেন না।
২. আবার ক্ষমতাবানরা সব কাজে নিজেরা আগে এগিয়ে যান। ২০০৩ সালে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী অ্যাডাম গালিস্কি বলেন, ক্ষমতাবানরা বেশি ঝুঁকি নিতে সাহস করেন। তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস কাজ করে। আবার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তারাই সবচেয়ে আগে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। ২০১২ সালে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এর গবেষক জেনিফার এ হুইটসন তার গবেষণায় জানান, ক্ষমতাবানরা তাদের লক্ষ্য অর্জনে বাধ্যবাধকতা মানতে রাজি থাকেন না এবং তা নেতিবাচক কোনো উপলব্ধি তাদের মধ্যে কাজ করে না।
৩. এবার ক্ষমতাবানদের একটি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরেছেন নেদারল্যান্ডস এর টিলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জোরিস ল্যামার। ২০১১ সালে তিনি এক গবেষণায় বলেন, ক্ষমতাবানদের ইতিহাস প্রতারণায় ভরপুর। ক্ষমতাসীনরা খুব সহজেই অন্যকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে করে তারা অপরের সঙ্গে খুব সহজেই বিশ্বাসঘাতকতা করার সাহস পান। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য বিরাজ করে না।
৪. নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের জো ম্যাজি এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক পামেলা স্মিথ এর গবেষণায় বলা হয়, ক্ষমসাবানরা সাধারণ মানুষদের থেকে দূরে দূরে থাকেন। এ দূরত্ব এমনিতেই গড়ে ওঠে। তারা সমাজের গুটিকয়েকেরে কাতারে চলে যান। গবেষণায় বলা হয়, মানুষের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে নির্ভরশীলতা আর লেনদেনের মাধ্যমে। কিন্তু ক্ষমতাবানরা কারো ওপর নির্ভরশীল থাকেন না। বরং অন্যরা তার ওপর নির্ভর করেন। তাই অন্যন্য হিসেবে তিনি সবার থেকে দূরেই থাকেন। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার, কালের কণ্ঠ
Discussion about this post