টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর প্রথম ওয়ানডেতেও ব্যাটসম্যাদের ব্যর্থতায় নাকাল বাংলাদেশ। কার্টেল ওভারের (৪০ ওভার) ম্যাচে ১৬১ রানের টার্গেট মামুলি ব্যাপার দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আপের কাছে। ৫৩ বল ও আট উইকেট হাতে রেখে জয়ই তা স্পষ্ট করেছে।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়কও মনে করেন ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে না পারাতেই এমনভাবে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, কিছু ব্যাটসম্যান সেট হয়ে আউট হয়ে গেছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা সব সময় বলি, যারা ভালো সুযোগ পাচ্ছে তাদের উচিত কাজটা শেষ করে আসা। কিন্তু সেটা আমরা পারছি না। একদিনে হয়তো অনুশীলনে এতো কিছু করতে পারবো না, আমাদের মেন্টালিটি পরিবর্তন করতে হবে। উইকেটে আরেকটু বেশি সময় নিয়ে খেলতে হবে।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলপতি বলেন, টসে জিতে ব্যাটিং না নেওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। উইকেটে তেমন কোনো সুইং ছিল না। খুব ভালো ব্যাটিং ট্র্যাক ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। উইকেট যদি খারাপ হতো সাকিব, সৌম্য যেভাবে শুরু করেছে, সেভাবে শুরু করা সম্ভব হতো না। আমি দেখিনি কোনো বল অনেক বেশি সুইং করেছে। আমরা ভালো ব্যাটিং করছি না, এটাই আসল ব্যাপার।
বাংলাদেশকে ১৬০ রানের মধ্যে বেধে ফেলায় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। অভিষেক ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন ২০ বছরের এই তরুণ।
রাবাদার প্রশংসা করে মাশরাফি বলেন, রাবাদাকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। এটা তার জীবনের অনেক বড় একটা অর্জন।
সংবাদ সম্মেলনে রাবাদাও মাশরাফির বেশ প্রশংসা করেন।
Discussion about this post