মামলা করে জেলে পাঠানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
খুনের শিকার বড় ভাই আবুল কালাম মিরসরাই উপজেলার পাতাকোট গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দন্ডিত ছোট ভাই নূর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম বর্তমানে পলাতক আছেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরসরাই থানায় আবুল কালামের দায়ের করা ঘরপোড়ার একটি মামলায় নূল মোহাম্মদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। এতে আবুল কালমের উপর ক্ষুব্ধ ছিল নূর মোহাম্মদ।
২০০৫ সালের ১১ নভেম্বর আবুল কালাম একই গ্রামে তার অসুস্থ বোন সালমা খাতুনকে দেখতে যান। সেখানে রান্নাঘরে বসে তারা ভাইবোন গল্পগুজব করছিল। খবর পেয়ে নূর মোহাম্মদ এবং তার স্ত্রী সেখানে যায়।
সালমা খাতুন রান্নাঘর থেকে বের হলে দু’জন সেখানে প্রবেশ করে নূর মোহাম্মদ বটি এবং রহিমা দা দিয়ে আবুল কালামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে। এরপর আবুল কালামের লাশ পুকুরে ফেলে দেয়ার সময় সালমা ও তার মেয়ে রোজিনা দেখে ফেলে। তারা নূর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রীকে ধরে ফেলে।
পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ঘটনাস্থলে আসে এবং তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ঘটনার দিন আবুল কালামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় নূর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালে আসার পর বিচারক দুই আসামির বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
Discussion about this post