নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে নির্মিত বহুতল ভবন ভাঙতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতিকে (বিজিএমইএ) আরও এক বছর সময় মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ সোমবার (০২ এপ্রিল) সকালে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন ভাঙতে আর সময় চাইবে না বলে সংশোধিত মুচলেকা জমা দেয়ার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, এবার যেন বাস্তবায়ন হয়, ১২ মাস ১০ দিন সময় পাচ্ছেন এটি মনে রাখবেন। আদালতের এ আদেশের ফলে বিজিএমইএ ১৬তলা ভবনটি ভাঙার জন্য ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পেল।
আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে মুচলেকা জমা দেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম বলেন, আদালত আমাদের মুচলেকা গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে ভবন ভাঙতে আমাদের ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এক বছর ১০ দিন সময় দিয়েছেন।
গত ৫ মার্চ বহুতল ভবনটি ভাঙতে আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।
২৫ মার্চ বিজিএমইএর আবেদনের ওপর শুনানি শেষ করে ২৭ মার্চ আদেশের দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। এদিন আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বিজিএমইএর আইনজীবীকে বলেন, ভবন কতদিনের মধ্যে ভাঙবেন, সে বিষয়ে মুচলেকা দিতে হবে। অন্যথায় কোনো সময় আবেদন গ্রহণ করা হবে না। বারবার সময় আবেদন করেন, এতে আমাদেরই লজ্জা লাগে। আদালত বলেন, সময় আবেদনের বিষয়ে মুচলেকা দেয়ার পরেই আদেশ দেয়া হবে।
২৮ মার্চ শেষবারের মতো এক বছরের সময় চেয়ে লিখিত মুচলেকা দেয় বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা পরিষদ। লিখিত মুচলেকায় বলা হয়, এর পর আমরা আর সময় চাইব না।
তবে সময় না চাওয়ার শর্ত স্পষ্ট না থাকায় মুচলেকাটি সংশোধন করে পুনরায় জমার নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে আজ আদেশের দিন নির্ধারণ করেন আদালত। সংশোধিত মুচলেকা জমা দেয়ার পর আজ আদালত আদেশ দেন।
একে
Discussion about this post