ভারতজুড়ে কমপক্ষে ১৫ কোটি কর্মজীবী আজকের ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের পত্রিকাগুলো। বুধবার সকাল ছয়টা থেকে শুরু হওয়া দিনভর এই ধর্মঘটে বিঘ্নিত হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন বাণিজ্যিক পরিষেবা। এদিন সকালে পুরো ভারত জুড়েই অসংখ্য ব্যাংকের দরজা খোলেনি। ধর্মঘটে আক্রান্ত হয়েছে পরিবহন সেক্টরও। বিভিন্ন জায়গায় বিঘ্নিত হচ্ছে রেল চলাচল।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বুধবার কলকাতায় কোথাও কোথাও ধর্মঘটকারীদের সঙ্গে পুলিশ এবং রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষ হয়। কলকাতায় অধিকাংশ ব্যাংকই বন্ধ। এছাড়া বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন অর্থনৈতিক নীতির বিরোধিতায় বেশ কিছুদিন ধরেই সরব ট্রেড ইউনিয়নগুলো। এর মধ্যেই অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রী অরুন জেটলির সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে গেলে বুধবার ধর্মঘটের ডাক দেয় দশটি প্রভাবশালী ট্রেড ইউনিয়নের জোট। তবে বিজেপি অনুগত ভারতীয় মজদুর সংঘ এবং ন্যাশনাল ফ্রন্ট অব ট্রেড ইউনিয়ন এই ধর্মঘটে যোগ দেয়নি।
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অর্থনৈতিক এবং শ্রম খাতে ব্যাপক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কিন্তু তার সংস্কার কর্মসূচি শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী এবং কর্পোরেট স্বার্থের অনুকূলে বলে এর বিরোধিতা করছে ট্রেড ইউনিয়নগুলো। তাদের সমর্থন দিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
এ পরিস্থিতিতে থমকে আছে ভারতের অর্থনীতি। চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে কাঙ্ক্ষিত সাত শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে ভারতের অর্থনীতি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শ্রমবাজারে প্রবেশ করা লাখ লাখ যুব ভারতীয়দের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করাই এ মুহূর্তে সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
Discussion about this post