ভারতের শক্তি
ব্যাটিং লাইন আপ। ব্যাটসম্যানরা সবাই রানের মধ্যে আছে। যদিও একসঙ্গে সবাই রান পাচ্ছে না। তবে তিন-চারজন ব্যাটসম্যান ভাল খেলে দিতে পারলে বড় রান তুলে ফেলবে ভারত।
পাকিস্তানের শক্তি
বোলিং। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে সোহেল খানকে ভাল লেগেছে। দু’জন বাঁহাতি বোলার। ইরফানের মতো লম্বা বোলার উইকেট থেকে ভাল বাউন্স আদায় করে নিতে পারবে। বোলিংয়ে বৈচিত্র আছে।
ভারতের দুর্বলতা
গত দু’বছর ধরে যা ছিল। বোলিং। বোলিং কম্বিনেশন নিয়ে দলের মধ্যে অনিশ্চয়তা। দুই স্পিনারে, না চার পেসারে, তা নিয়ে ধন্ধ। ক্রাইস্টচার্চে স্পিনাররা ভাল বল করেছে। মেলবোর্নে মইন আলি খারাপ করেনি। ভারতীয় স্পিনাররা ভাল করতে পারে। বোলিংয়ে এই দুর্দশা ঢাকতে শৃঙ্খলা, পরিকল্পনা দরকার। আর প্রয়োজন, সে সব কাজে লাগানো।
পাকিস্তানের দুর্বলতা
ব্যাটিং। হাফিজ দলের বাইরে চলে যাওয়ায় ওপেনিং নিয়ে ওরা বড় সমস্যায়। মিডল অর্ডারে মিসবা, ইউনিস, আকমল, আফ্রিদিদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা। ওরাও যে ধারাবাহিক ভাবে ভাল ব্যাট করে চলেছে, তাও নয়। নাসির জামশেদ ব্যাকফুটে দুর্বল। আকমলের ভাল শুরু করেও বাজে শটে আউট হওয়ার রোগ আছে। টিমে মিস্টার ডিপেন্ডেবল বলে কেউ নেই।
ভারতের সুযোগ
গত তিন বছরে উনিশ বার আড়াইশো বা তার বেশি রান তাড়া করে ষোলো বার হেরেছে পাকিস্তান। রান তাড়া করতে গেলে ওরা ঝামেলায় পড়ে। ডট বল পার্সেন্টেজও ওদের বাকি সবার চেয়ে বেশি। খুচরো রান তোলার দিকে মন দেয় না বলে শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর তুলতে সমস্যা হয়। আর পাক ফিল্ডিং ভাল নয় বলে বাউন্ডারি তেমন না পেলেও ভারতীয়দের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ সিঙ্গলস বা টু’জ-এ স্কোরবোর্ড চালু রাখা যাবে।
পাকিস্তানের সুযোগ
নতুন বলে উইকেট পাওয়ার হিসেবে ভারত সবচেয়ে খারাপ। মাথা ঠান্ডা করে ব্যাট করলে শুরুটা ভাল করতে পারে পাকিস্তান। ডেথ ওভারে ভারতের বোলিং বরাবরই খারাপ। এই সুযোগ কাজে লাগানোর মতো ব্যাটসম্যান পাক দলে রয়েছে। আকমল, মকসুদ, আফ্রিদিদের কাছে এটা বড় সুযোগ।
ভারতের আতঙ্ক
শুরুতে উইকেট নিতে না পারলে সমস্যা হবে। পাকিস্তান ব্যাটসম্যানরা ফর্মে না থাকলেও ভারতের বিরুদ্ধে যেন জ্বলে ওঠে। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ যদি খেলে, তা হলে ওর মোকাবিলা করা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পক্ষে সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।
পাকিস্তানের আতঙ্ক
অ্যাডিলেডে মাঠের যেহেতু দুটো সাইড ছোট আর সোজায় বড়, তাই পাক পেসাররা শর্ট বল দিলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা তার ভরপুর ফায়দা তুলে বিশাল রান তুলতে পারে। পাকিস্তানের বোলাররাও শর্ট বল-প্রবণ আর ভারতের ব্যাটসম্যানরাও সাইডস্ট্রোকে সিদ্ধহস্ত।
সূত্রঃ আনন্দবাজার
Discussion about this post