পদোন্নতিতে বৈষম্যের অভিযোগ এনে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেছেন দেশটির ১০০ সেনা কর্মকর্তা। অভিযোগকারী সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে মামলায় বাদী হয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পি কে চৌধুরী। গতকাল সোমবার এ খবর দেয় আনন্দবাজার পত্রিকা।
মামলার আবেদনে সেনা কর্মকর্তারা বলেছেন, বাহিনীতে সার্ভিসেস কোরের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ অত্যন্ত কম। সেনা ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতি সার্ভিসেস কোরের আধিকারিকদের প্রতি সাংঘাতিক বৈষম্যমূলক এবং বাহিনীর মনোবল তথা দেশের নিরাপত্তার জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তারা বলেন, বাহিনীর কমব্যাট আর্মস কোরে যেভাবে পদোন্নতি হয়, সার্ভিসেস কোরে যদি একইভাবে পদোন্নতি না দেওয়া হয় তাহলে অপারেশনাল এরিয়ায় কমব্যাট আর্মস কোরের পাশাপাশি সার্ভিসেস কোরকে যেন মোতায়েন না করা হয়। সর্বোচ্চ আদালতের সামনে মামলাকারীদের এই আরজি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে যথেষ্ট উদ্বেগে রাখছে বলে নয়াদিল্লি সূত্রের খবর।
মামলাকারীরা জানান, বিভিন্ন অপারেশনাল এরিয়ায় যখন বাহিনী মোতায়েনের প্রশ্ন ওঠে, তখন কমব্যাট আর্মস কোরের মতো সার্ভিসেস কোরকেও ‘অপারেশনাল ফোর্স’ হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু পদোন্নতির প্রশ্নে সার্ভিসেস কোরকে ‘নন-অপারেশনাল ফোর্স’ গোত্রে ফেলে দেওয়া হয়। বাহিনী তথা মন্ত্রণালয়ের এই নীতি চূড়ান্ত বৈষম্যমূলক। তারা দাবি করেন, কমব্যাট আর্মস কোরকে যে পরিমাণ আত্মত্যাগ করতে হয়, সার্ভিসেস কোরের আত্মত্যাগ তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। এ কারণে বাহিনীর ওই দুই অংশেই পদোন্নতির সুযোগ সমান হওয়া উচিত।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টে সার্ভিসেস কোর আধিকারিকদের অন্য একটি মামলার নিষ্পত্তি হয়। সার্ভিসেস কোরে খুব কম সংখ্যক কর্নেল পদ বরাদ্দ করা হয়। ফলে মেজর ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্তরের আধিকারিকরা পদোন্নতির সুযোগ পান না, সুপ্রিমকোর্টকে তখন এমনটিই জানিয়েছিলেন সার্ভিসেস কোরের কর্মকর্তারা। ওই মামলার রায় নিয়ে কোনো প্রশ্ন না তুলেই নতুন মামলা করেছেন ১০০ কর্মকর্তা।
Discussion about this post