চট্টগ্রামে ৮ বছর আগে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অন্তর হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালি থানা পুলিশ। তারা হলেন- জেসমিন (৩১) ও সঞ্জয়। তাদেরকে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে এনে গ্রেফতার করা হয়।
আদালত রবিবার (০৯ অক্টোবর) তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
বোয়ালখালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রবিউল হোসেন জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর পাহাড়তলী থানার সহযোগিতায় অলঙ্কার মোড় থেকে জেসমিন আকতার খুকুমনি ও সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সাথে নিপা আকতার নামে এক শিশু ছিল।
গ্রেফতার জেসমিন বোয়ালখালী উপজেলার কানুনগোপাড়া বিদগ্রামের নুরুল ইসলাম প্রকাশ ওহাব মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ জানায়, জেসমিনের ঘর থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইল সিমের সূত্র ধরে তার ভাই মোবিনের বিয়ের নাটক সাজায় পুলিশ। শনিবার (০৮ অক্টোবর) ছিল বিয়ের দিনক্ষণ। বিয়েতে যোগ দিতে ভারতের আগরতলা থেকে সঞ্জয়, শিশু নিপাসহ ছুটে আসে জেসমিন। এরপর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
তিনি জানান, ৮ বছর আগে এ হত্যাকাণ্ডের পরই জেসমিন ও সঞ্জয় ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। শনিবার (৮ অক্টোবর) তারা দেশে আসে। গ্রেফতারের পর তাদের বোয়ালখালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার সকালে আদালতে নেওয়া হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেসমিনের সঙ্গে থাকা তার দশ বছরের মেয়ে নিপা আকতারকে নিকট আত্মীয়র জিম্মায় দিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর লিটল জুয়েলস ফ্লাওয়ার স্কুলের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী অন্তর দাশকে (৭) অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এরপর অন্তরের পিতার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। এ ব্যাপারে ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর অন্তরের মা লাকী দাশ বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে কানুনগোপাড়া বিদগ্রাম জেসমিনের বাপের বাড়ির পেছনের একটি পুকুরপাড়ে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় অন্তরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জেসমিনের ভাই মোবিনকে পুলিশ গ্রেফতার করলে সে সময় মোবিন আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করেন। স্বীকারোক্তিতে সে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত জেসমিন ও সঞ্জয়ের নাম প্রকাশ করে।
নিহত শিশু অন্তর পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকার কাঞ্চন দাশের বড় ছেলে। কাঞ্চন দাশ পরিবার নিয়ে নগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড় মাছুয়া ঝর্ণা এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
Discussion about this post