খেলা আর রাজনীতি গুলিয়ে ফেললে চলবে না। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট সিরিজ শুরু করার পক্ষে সওয়াল করে এই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন বাঁহাতি পেসার ওয়াসিম আক্রম। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই-ই হোক না কেন, দুদেশের মধ্যে ক্রীড়া সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, পঞ্জাবের গুরদাসপুরে জঙ্গি হামলা দুদেশের মধ্যে ক্রিকেট সিরিজ চালু হওয়ার আশায় জল ঢেলেছে। বিসিসিআই সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেন, একদিকে সন্ত্রাস, অন্যদিকে ক্রিকেট একসঙ্গে চলতে পারে না। এই মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভ বলেন, “আমার মনে হয় দু’দেশের মধ্যে সিরিজ হওয়ার আগে হিংসা সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হওয়াটা জরুরি। আর, এ নিয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমি একমত৷।ভারত-পাক সিরিজ বরাবরই খুব বিনোদনমূলক, তবে তার জন্য আমরা সীমান্তের মানুষদের দুঃখ-দুর্দশাকে ভুলতে পারি না৷” সৌরভের এই মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক সাফ জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন। তিনি বলেন, আমি মনে করি রাজনীতি ও খেলাকে আলাদা রাখতে হবে। রাজনীতির ক্ষেত্রেই যাই হোক না কেন, দুদেশের মধ্যে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া উচিত।
আক্রম তাঁর যুক্তির সপক্ষে বলেন, ১৯৯৯-এ ভারতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে এসেছিল পাক দল। তখনও কিন্তু দুদেশের সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। আর সেই সফরে পাক দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনিই। আক্রম বলেছেন, ওই হোটেলে আমাদের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল। আমরা বেশিরভাগ সময়ই হোটেলেই কাটিয়েছি। এ সত্ত্বেও আমরা সিরিজ খেলেছিলাম এবং ওই সফর দারুন সফল হয়েছিল।আমি মনে করি ভারত-পাক ক্রিকেট সম্পর্ক বন্ধ হওয়া উচিত নয়।
আক্রম আরও বলেছেন, ভারতে তো তিনি নিয়মিতই যান। তাঁর মনে হয়, ক্রিকেট অনুরাগীরা দুদেশের মধ্যে ক্রিকেটর লড়াইটা দেখতে চান। তাঁর মতে, ক্রিকেট সম্পর্ক আখেরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে উঠবে।
পাক ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান শাহরিয়র খান গতকাল এক টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে ভারতের সঙ্গে সিরিজের সম্ভাবনা এখনও রয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেও সিরিজ খেলতে আগ্রহী পাকিস্তান। ভারত-পাক সিরিজ হবে কিনা তা আগামী দুমাসের মধ্যে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন শাহরিয়র।”এবিপি আনন্দ
Discussion about this post