পুলিশ নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের অধিকার রাখে না অভিযোগ করে ভাড়াটিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে বাড়ি মালিকদের কাছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বন্ধ করতে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার সময় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া ডাকযোগে সরকারকে এ নোটিশ প্রেরণ করেন।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহা-পরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে জবাব দিতে বলা হয়েছে নোটিসে। অন্যথায় এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নোটিশকারী আইনজীবী।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যের্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘পুলিশ এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। এসব তথ্য সংরক্ষণের কোনো বিধান বাংলাদেশে নেই। পুলিশ এসব তথ্যের অপব্যবহার করতে পারে এ আশংকায় আমি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি।’
নোটিশে বলা হয়, ব্যাংক একাউন্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট তৈরির সময় কিছু তথ্য দিতে হয়। কিন্তু সেখানে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য পুলিশের নেয়ার কোনো আইন নেই। ফৌজদারি কার্যবিধি মোতাবেক শুধুমাত্র কোনো আদালত চাইলে তথ্য দিতে হয়। পুলিশের এসব তথ্য সংগ্রহ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অপরাধ ভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে। যেহেতু দেশে তথ্য সংরক্ষণের আইন নেই ফলে এসব তথ্যর অপব্যবহারের আশংকা রয়েছে। পুলিশের কাছে এসব তথ্য থাকা বিপজ্জনক।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য থানায় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
এ সময়ের মধ্যে যারা তথ্য দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, হয়রানি নয়, নিরাপত্তার স্বার্থেই বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় নগরবাসীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিট পুলিশিংয়ের প্রতি গুরুত্বরোপ করে তিনি বলেন, এতে পুলিশের প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা বাড়বে।
Discussion about this post