বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় ভুল চিকিৎসায় তিন বছরের শিশুর ডান হাত পঙ্গু করার অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা য়েছে।এজাহারে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৬৯/২৭০/৩৪ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা শুনানি নিয়ে বিচারক সুপ্রিয়া রহমান অভিযুক্ত চার চিকিৎসককে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
বৃহস্পতিবার শিশুর মা বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া এলাকার ফজিলাতুন্নেছা ফৌজিয়া বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসকরা হলেন-বগুড়া শহরের কলোনীর হেলথ সিটি স্পেশালাইজড হাসপাতালের অর্থপেডিক্স সার্জন ও বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পঙ্গু হাসপাতালের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আবদুল্লাহ আল মুতী সুবর্ণ, কলোনি এলাকার হেলথ সিটি হসপিটালের ডা. মো. লিমন, ডা. মো. রেজওয়ান ও ডা. সাবিহা।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার তিন বছরের ছেলে ফাহিম মুবাশশির গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর খাট থেকে পড়ে গেলে ডান হাতের কনুইয়ের হাড় ভেঙে যায়। ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ১০টার দিকে তিনি ছেলেকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. আবদুল্লাহ আল মুতী সুবর্ণর কাছে নিয়ে যান।
চিকিৎসক শিশুর হাড় ও রগের একসঙ্গে অপারেশন করে ভালো করে দেবার আশ্বাস দেন। পরে শহরের কলোনীর হেলথ সিটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করেন। তাকে সহযোগিতা করেন ডা. মো. লিমন, ডা. মো. রেজওয়ান ও ডা. সাবিহা।
অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসক সুবর্ণ ও তার সহযোগী চিকিৎসরা দায়িত্ব কর্তব্যে অবহেলা করেন। তারা শিশুর ডান হাতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালী কেটে ফেলেন। এতে শিশুটি হাত নাড়াচাড়া করতে প্রচন্ত ব্যথা হতে থাকে। বর্তমানে তার হাতটি পঙ্গু হয়ে গেছে।
বাদী অভিযোগ করেন, চিকিৎসকরা তার ছেলের ডান হাত পঙ্গু হওয়ার জন্য দায়ী। তিনি আদালতের কাছে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আদালতের সূত্র জানান, বিচারক শুনানি শেষে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডা. আবদুল্লাহ আল মুতী সুবর্ণ। তিনি বলেন, শিশুটির চিকিৎসায় কোনো ত্রু টি হয়নি। বাদী অনিয়ম করায় তার ছেলের হাতে সমস্যা হয়েছে।
Discussion about this post