“এতদিন পর তিনি বুঝতে পেরেছেন গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না করা ভুল ছিল। এখন সেটা স্বীকার করে তিনি নিজেই মাঠে নেমে গেছেন। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করলে তিনি লাভবান হতেন।”
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি পুলিশি বাধায় ৫ জানুয়ারি ভোটের বর্ষপূর্তির কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশে অবরোধের ডাক দেয়।
অবরোধের মধ্যে তিন মাস গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থান করেন খালেদা জিয়া। মাঝে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ৯২ দিনের মাথায় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আদালত হয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। বিএনপি জোটের এই কর্মসূচি চলাকালে গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার নানা ঘটনায় ১৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, অগ্নিদগ্ধ হন সহস্রাধিক মানুষ। এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি ৯২ দিন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পর তিনি (খালেদা জিয়া) কোর্টে আত্মসমর্পণ করেছেন, দলীয় কার্যালয় ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে গেছেন, পল্টন অফিসে গিয়ে নির্বাচনের পক্ষে কাজ করছেন, আর এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন, কিন্তু বার্ন ইউনিটের হাহাকার এখনও থামে নাই।”
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে সিটি নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও তাবিথ আউয়ালকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন খালেদা জিয়া। শনিবার গুলশান, বাড্ডাসহ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে তাবিথের পক্ষে ভোট চেয়েছেন তিনি। তবে খালেদা জিয়া মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও সিটি নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য তোফায়েল।
“তিনি (খালেদা) নাশকতা চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছেন, মানুষের ক্ষতি করেছেন, এখন তিনি যতই মাঠে নামেন না কেন জনগণ ভোটের মাধ্যমে তার সন্ত্রাসী, জঙ্গি তৎপরতা ও নাশকতার জবাব দেবে,” বলেন তিনি। দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল। আরো কয়েকটি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (স্পেশাল ইকোনমিক জোন) জায়গা দেওয়া হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে জায়গা বরাদ্দ দিতে সরকার ১৭টি এলাকাকে চিহ্নিত করেছে, যাকে স্পেশাল ইকোনমিক জোন বলা হচ্ছে।
Discussion about this post