ইকুয়েডরে শনিবার রাতের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭ এ দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৫৭৮ জন। ভূমিকম্পের পর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জারি করা সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। জরুরি অব্স্থা জারি করা হয়েছে দেশের ছয় প্রদেশে।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার (বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ৭টা) দিকে ইকুয়েডরের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর মুসনি থেকে ২৮ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে গুয়াইয়াকুল।
ইকুয়েডরের ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাস বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মুহূর্তে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১য়ে এসে দাঁড়িয়েছে।’আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিহতের এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করেছেন। এর আগে তিনি নিহতের সংখ্যা ২৮ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি শনিবারের ভূমিকম্পকে ১৯৭৯ সালের ভূমিকম্পের চাইতেও ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে ভূমিকম্পের পর সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়ে। তিনি এই দুর্যোগে দেশের জনগণকে শান্ত থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন। ভূমিকম্পের খবর পেয়ে তিনি ইতালি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন।
ভূমিকম্পের পর সুনামির আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইকুয়েডর কর্তৃপক্ষ। পেসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, ইকুয়েডরের কিছু উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এক থেকে তিন ফুট পর্যন্ত জল উঠতে পারে। ওই ভূমিকম্পের পর পাশ্ববর্তী দেশ পেরুতেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া স্থাপনাগুলোর ছবি প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। ফেসবুকে প্রকাশিক এমনই এক ছবিতে দেখা যায়, গোয়াইয়াকুইল শহরের একটি বড় সেতু ও এক হোটেলের লবি ভেঙে গেছে। এছাড়া মান্তা শহরের এক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার ধসে পড়েছে। গুয়াইয়াকুল দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত গোয়াইয়াকুইল শহরটি বিদেশি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
Discussion about this post