পাবনার ঈশ্বরদীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ভূমিমন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরীফ তমাল ও তার ক্যাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ সময় তারা ল্যাপটপ ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সময় টেভিভিশন ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার পাবনা প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ, এটিএন নিউজের পাবনা প্রতিনিধি রিজভী রাইসুল ইসলাম জয়, ডিবিসি নিউজের পাবনা প্রতিনিধি পার্থ হাসান ও ক্যামেরাপারসন মিলন হোসেন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সাংবাদিকরা জানান, বুধবার বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদুর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে ভূমিমন্ত্রীর ছেলে তমাল ও তার অনুসারী যুবলীগের ক্যাডার বাহিনী। এ সময় ভাঙচুর ও হামলার দৃশ্য ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করার সময় ক্যাডাররা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার করে। পরে তাদের আহতাবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আহত সাংবাদিকদের দেখতে যান পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা। পরে হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাংবাদিকরা। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা শহরের আব্দুল হামিদ সড়ক অবরোধ করে ট্রাফিক মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেন। এ সময় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সহ-সভাপতি কামাল সিদ্দিকী, সম্পাদক আঁখি নূর ইসলাম রেমন, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা, এবিএম ফজলুর রহমান, বিটিভি প্রতিনিধি আব্দুল মতীন খান প্রমুখ। সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের আহতের প্রতিবাদে তিন দিন কালোব্যাজ ধারণ ও ভূমিমন্ত্রীর সব সংবাদ বয়কটের ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতারা।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। তবে অভিযোগ পাইনি। তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ।’
Discussion about this post