আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভোট ক্রয় কেলেঙ্কারির জেরে পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পাবলো কুজেনস্কি গতকাল বুধবার নিজে পদত্যাগ করার ঘোষণা করেছেন।
দেশের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে থাকতে চান না বলে তিনি নিজের পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন। তবে সাবেক এই ওয়ালস্ট্রিট ব্যাংকার দাবি করেন, তিনি অন্যায় কিছু করেননি।
পেরুর কংগ্রেসের কুজেনস্কির দলের নেতারা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন।
উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার একটি অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল তার। কুজেনস্কির মিত্ররা এই ভোটে তাকে সমর্থন দেয়ার জন্য বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের অর্থ দেয়ার প্রস্তাব করছেন, এমন ফুটেজ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে কুজেনস্কির পদত্যাগের দাবিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়।
এর আগে ডিসেম্বরে আরেকটি অভিশংসন ভোটে উতরে গিয়েছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।
ব্রাজিলীয় নির্মাণ কোম্পানি ওদেব্রেইচি থেকে অবৈধ অর্থ নেওয়ার অভিযোগে বিরোধীরা কুজেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে।
কংগ্রেসে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতায় টিকে থাকা এই প্রেসিডেন্ট বিরোধীরা ক্যু করতে চাইছে’ বলে অভিযোগ করে আসছিলেন।
কুজেনস্কি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে নিউইয়র্কের ওয়ালস্ট্রিটের ব্যাংকার হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জয় পেয়ে ক্ষমতাসীন হন।
৭৯ বছর বয়সী কুজেনস্কি বলেন, আমি মনে করি আমার দেশের জন্য যা কল্যাণকর, আমার জন্যও তা। ঐক্য ও সংহতির পথে আমি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারি না।
Discussion about this post