বিডি ল নিউজঃ প্রতিটা সময়ই জীবন বদলায়। এমনটাই বোধহয় বুঝছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। ধর্ষণের অভিযোগে জেলে যাওয়ার কালো অধ্যায় পেরিয়ে বিশ্বকাপে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের আলোয় ফের ক্রিকেট কেরিয়ারেই মনোনিবেশ করার কথা ভাবছিলেন তিনি। এরইমধ্যে ফের বিপর্যয়। কেননা, ভোলবদল করে আবার রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী নাজনিন আখতার হ্যাপি।সোমবার ঢাকা থেকে এবিপি আনন্দকে টেলিফোনে এ কথাই জানিয়েছেন নাজনিন।
নাজনিন বলেছেন, হ্যাঁ আমি ওই মামলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শীঘ্রই ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানি হবে।
বাংলাদেশি অভিনেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি সহজে রেহাই দেবেন না রুবেলকে। তাঁর বক্তব্য, প্রতারকদের সাজা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের ঠিক আগে জানুয়ারিতে নাজনিনের ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনদিনের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশি পেসারকে। পরে জামিন পান এবং বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পান। টুর্নামেন্ট বল হাতে দুরন্ত পারফর্ম করেন তিনি। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার ছাড়পত্র পায়। ওই ম্যাচে ৪ উইকেট দখল করে জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন রুবেল। এই সাফল্যের পর নাজনিন রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু এখন তাঁর মনে হচ্ছে, তিনি ভুল করেছিলেন। নাজনিন বলেছেন, আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলাম। যখন রুবেল দেশের হয়ে ভালো খেলছিল তখন আমি ওকে ক্ষমা করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু আমি ভুল করেছিলাম। আমার অভিযোগ প্রত্যাহার করা উচিত ছিল না।
উল্লেখ্য, সোমবারই ঢাকার একটি আদালত নাজনিনের মামলা নারী ও শিশুদের ওপর অত্যাচার প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালের কাছে পাঠিয়েছে। চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারক মামলাটি ট্রাইব্যুনালের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রুবেলের আইনজীবী এ সম্পর্কে জানিয়েছেন, রুবেলকে রেহাই দেওয়ার এক্তিয়ার ঢাকার ওই আদালতের না থাকায় মামলাটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নাজনিন মনে করছেন, তাঁর এই পদক্ষেপ হাজার হাজার মেয়েদের চোখ খুলে দেবে। তিনি বলেছেন, অনেক মহিলাই প্রতারিত হন। কিন্তু তাঁরা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেন না। তাই রুবেল যদি রেহাই পেয়ে যায়, তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
গত কয়েকমাসে অনেক ধকল গিয়েছে। এবার আগামী ২২ এপ্রিল ছুটি কাটাতে ভারতে আসছেন নাজনিন।”এবিপি আনন্দ
Discussion about this post