এ প্রসঙ্গে মার্কিন বিচার বিভাগের মুখপাত্র সারাহ ইজগুর ফ্লোরেস বলেন, ‘এই জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করতে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছি এবং আমরা দৃঢ়ভাবে আস্থাবান যে, জাতীয় নিরাপত্তা বজায় ও সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে আমাদের জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশটি তার আইনি অধিকারের মধ্যে থেকেই জারি হয়েছে।’
এখন প্রশাসনের আবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সিদ্ধান্ত হলে এ শুনানি হবে আসছে অক্টোবরে। এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালে সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির সমর্থন প্রয়োজন হবে।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার কয়েক দিনের মাথায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশে সই করেন। এতে সোমালিয়া, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, সুদান, লিবিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং সবরকম শরণার্থী কর্মসূচি ১২০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়।
বিতর্কিত এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বিভিন্ন বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়। এরপর ওয়াশিংটন স্টেট ও মিনেসোটায় প্রাথমিকভাবে আনা আইনি চ্যালেঞ্জে এর বাস্তবায়ন থমকে যায়।
ট্রাম্প এরপর মার্চ মাসে আইনি ইস্যুগুলো আমলে নিয়ে সংশোধিত আদেশে সই করেন এবং ইরাককে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। কিন্তু ১৬ মার্চ এই আদেশ কার্যকর বাধাগ্রস্ত হয় যখন মেরিল্যান্ডের একটি আদালতের রায়ে আসে এই নির্দেশ ‘সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন’।
Discussion about this post