যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অপরাধের বিচার করে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই বছরের সাজা দেওয়ার বিষয়ে পাবনার ইশ্বরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকির হোসেনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুই বছর কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামির সাজা বাতিলের আবেদনের শুনানিকালে এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৯ মার্চ ১৭৮ বোতল ফেনসিডিল বহনের দায়ে মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও মোহাম্মদ বাবুল ইসলামকে সাজা দেন ঈশ্বরদীর তৎকালীন ইউএনও মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তাদেরকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সাজার আদেশের বিরুদ্ধে তারা পাবনার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করলে সাজা বহাল রাখা হয়।
সাজা বহালের ওই আদেশের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তি পাবনার বিশেষ জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করেন। গত ১৯ জুলাই বিশেষ জজ আদালত রিভিশন মামলা খারিজ করে দিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বহাল রাখেন। পরে আসামিরা হাইকোর্টে সাজা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
শহীদুল ইসলাম জানান, ওই আবেদনের ওপর শুনানিকালে হাইকোর্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন পর্যালোচনা করে দেখেন যে, ১৭৮ বোতল ফেনসিডিল বহনের জন্য আইনে যাবজ্জীবন সাজার কথা উল্লেখ রয়েছে। যেহেতু আইনে এ সাজার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে, সেহেতু এটি মোবাইল কোর্টের বিচার্য বিষয় নয়। কারণ, মোবাইল কোর্ট আইন অনুসারে তারা সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজার অপরাধের বিচার করতে পারেন।
Discussion about this post