পৃথিবীর প্রাণিজগতের বেঁচে থাকার জন্য পানি প্রয়োজন। সেই তরল পানির সন্ধান মিলেছে আমাদের সৌরমণ্ডলের লালগ্রহ হিসেবে পরিচিত মঙ্গলগ্রহে।
নাসা জানিয়েছে, তারা মঙ্গলের মার্সিয়ান বায়ুস্তরে পানির সন্ধান পান। এ পানি কোথা থেকে আসছে, তা তারা বলতে পারছেন না। তবে তারা ধারণা করছেন, মঙ্গলগ্রহের ভূপৃষ্ঠের নিচ থেকে কিংবা লবণাক্ত স্যাঁতস্যাঁতে এলাকা এ পানি এসেছে।
নাসা জানাচ্ছে, মঙ্গলে গভীর অন্ধকার খাদ রয়েছে। ওখানে যখন শরৎকাল চলে, তখন জমে থাকা বরফ তরলপানিতে পরিণত হয়। তবে মঙ্গলে গড় তাপমাত্রা -৫০ ডিগ্রি।
তবে নাসা এটাও জানিয়েছে যে, এখন পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহ মানুষের বসবাসের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত নয়।
২৪ সেপ্টেম্বর ‘মঙ্গলগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য’ (‘Major Science Finding) পাওয়ার ঘোষণা দেয় নাসা এবং ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা জানানো হয়।
এর আগে এ বছরের জুলাই মাসে নাসা এক প্রেসব্রিফিংয়ে পৃথিবীর বাইরে মঙ্গলগ্রহে সম্ভাব্য প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে আভাস দিয়েছিল।
নাসার প্লানেটরি সায়েন্সের পরিচালক জিম গ্রিন এবং মঙ্গলগ্রহে অনুসন্ধান কার্যক্রমের প্রধান বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়ের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন।
নাসার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলগ্রহে বিজ্ঞানীরা অনুজীব (Microbial Life) এবং প্রবহমান পানির সন্ধান পেয়েছেন, যা পৃথিবীর অনুকূল পরিবেশের মতোই।
আটলান্টার জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ‘ল্যাটার থিওরি’র গবেষক লুজেন্দ্র ওঝাও ফ্রান্স থেকে টেলিফোনে তিনি বক্তব্য রাখেন।
তিনি এর আগে বলেছিলেন, মঙ্গলগ্রহে লবণাক্ত তরল পানি আছে যা প্রবহমান। মঙ্গলে যখন গ্রীষ্মকাল চলে, তখন এই পানি প্রবাহিত হয়।
এ বছরের এপ্রিল মাসের মঙ্গলে অবস্থানরত চার চাকার কিউরিসিটি রোভার স্যাঁতস্যাঁতে মাটির সন্ধান ও পানির সন্ধানের কথা জানায়।
সময় নাসা টিভি এবং তাদের ওয়েবসাইটে লাইভ দেখানো হচ্ছে।
Discussion about this post