সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারপতি মো. নিজামুল হক অবসরে যাচ্ছেন আগামীকাল (মঙ্গলবার)। এর আগে সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তাকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা নবনিযুক্ত এই বিচারপতিকে শপথ পাঠ করান।
প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বর্তমানে আপিল বিভাগে দায়িত্বরত অন্যান্য বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও নিজামুল হক নাসিম।
এর আগে বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান দায়িত্ব পালন করার সময় অসুস্থ্ হয়ে হাসপাতালে মারা যান।
বিচারপতি মো. নিজামুল হক
বিচারপতি মো. নিজামুল হক ১৯৫০ সালের ১৫ মার্চ পটুয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত নুরুল হক ও মা মৃত আছিয়া খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (অনার্স) এবং এমএসসি পাসের পর এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৭২-৭৩ শিক্ষাবর্ষে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৯৭৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। আইন পেশায় নিয়োজিত থাকাকালে তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে খ্যাতি পান।
২০০১ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। কিন্তু দুই বছর পর তাকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান নিজামুল হক। এর এক বছর পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর স্কাইপিতে বেলজিয়াম প্রবাসী এক আইনজীবীর সঙ্গে কথোপকথন প্রকাশের পর তিনি ট্রাইব্যুনাল থেকে পদত্যাগ করে আবার হাইকোর্টে ফিরে আসেন। হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড শাখার চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।
-জাগো নিউজ
Discussion about this post