চাল মজুতদারদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, অবৈধ মজুত চাল দ্রুত বাজারে ছেড়ে দিন-নইলে দুদকের মামলায় পড়তে হবে।
তিনি বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিছু মজুতদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে খাদ্যদ্রব্য মজুত করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন মর্মে কমিশনে অভিযোগ এসেছে। এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
দুদকের পাঁচ বছর মেয়াদি (২০১৭-২০২১) কর্মপরিকল্পনার চলমান কার্যক্রমের বিষয়ে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নির্বাহীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা হয়।
দেশে অভাবের কারণে নয়, লোভের তাড়নায় দুর্নীতি হচ্ছে মন্তব্য করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের অভিযোগকেন্দ্রের হটলাইন ১০৬-এ আজ পর্যন্ত ২ লাখ ৯ হাজার কল এসেছে। মানুষের নানাবিধ অভিযোগ জানানোর প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে ১০৬ নম্বর। কিন্তু অধিকাংশ অভিযোগই কমিশন আইনের তফসিলবহির্ভূত। আসলে দেশের সাধারণ মানুষ দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিল সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নয়।
৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবুর প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির কোনো সংবাদ প্রকাশ বা প্রচারের জন্য যদি কোনো সাংবাদিক কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী থেকে কোনো প্রকার হুমকির সম্মুখীন হন এবং বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করেন তাহলে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছি। আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না কিংবা ভবিষ্যতেও ছাড় দেব না।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, একুশে টিভির প্রধান নির্বাহী মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ ।
Discussion about this post