হবিগঞ্জ ও ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ ও হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে পৃথক এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জনি মিয়া (২৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সে শহরের পাটগুদাম এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নিহত জনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপুলিয়ামারী এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি টহল টিম রাত পৌনে ১টার দিকে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা অতর্কিতভাবে গুলি ও ইট মারতে থাকে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জনিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গ্রাম হেরোইন ও একটি স্টিলের চাকু উদ্ধার করে। নিহত জনির বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাইসহ ১১টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিল বলে জানান ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
এদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জহিরুল ইসলাম (২০) নামে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নিহত হয়েছেন। রোববার গভীর রাতে উপজেলার কালাদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, রাতে ধর্ষণ মামলার আসামিরা উপজেলার কালাদহ ঈদগাঁ মাঠের সামনে অবস্থান করছে এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জহিরুলকে একটি পাইপগানসহ গ্রেফতার করা হয়। গুলিবিদ্ধ জহিরুলকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সোলেমান নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হকসহ চার পুলিশ সদস্য।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত সোলেমান মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ওসি মো. নাজমুল হক বলেন, রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত ডেওয়াতলী কালিনগর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা তাদের উপর আক্রমন চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে সোলেমান গুরুতর আহত হয়। এ সময় তার অন্য সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহত ৪ পুলিশ সদস্যকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।




Discussion about this post