নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে আগামী সাত দিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা করে দিতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই টাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দিতে হবে জানিয়েছে আদালত।
একইসঙ্গে নিহত ও আহতদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সচিব, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল নূর উস সাদিক। এর আগে মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) এই রিটের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
বিস্ফোরণে হতাহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রিট করা হয়। নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার রিটটি দায়ের করেন। রিটে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। একই সঙ্গে, এ ঘটনায় কার কী দায়, কার অবহেলা বা কার ভুল তা নিরূপণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় মসজিদে অন্তত ৫০ জন মুসল্লি ছিলেন। আগুনে গুরুতর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এ পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চিকিৎসাধীন দগ্ধ ৮ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
রিট আবেদনে বলা হয়, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা গ্যাসলাইন লিকেজের বিষয়টি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানালেও তিতাস গ্যাসের স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন লাইন মেরামতের জন্য। সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য কাদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে, তা নির্ধারণ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোনের লাইন নিয়মিত দেখভালের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
Discussion about this post