ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে পেঁয়াজ ও আদা-রসুনের দাম বাড়তে থাকলেও নিম্নমুখি মসলার বাজার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রকার মসলার দাম কমেছে কেজিতে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং কমে যাওয়া এবং চোরাই পথে বাংলাদেশের বাজারে মসলা প্রবেশের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। চোরাই পথে মসলা প্রবেশ ঠেকাতে সরকারি নজরদারি বাজাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
খাতুনগঞ্জের মসলা ব্যবসায়ী এবি ট্রেডার্স’র সত্ত্বাধিকারী অমল কান্তি দাস জানান, গত সপ্তাহে খাতুনগঞ্জ বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায়।১০০ টাকা কমে বুধবার বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়।
তিনি জানান, বুধবার প্রতি কেজি জিরা ২৭০ থেকে ৩১০, দারুচিনি ২০৫ থেকে ২২০, লবঙ্গ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এসব মসলা বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ২৯০ থেকে ৩৫০, ২২০ থেকে ২৪০, ৯৫০ থেকে এক হাজার ৫০ টাকায়।
মেসার্স হাজী মো. ইসহাক ট্রেডিং এর পরিচালক মো. সেকান্দর বলেন, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশের বাজারে মসলা প্রবেশের কারণে বাজার নিম্নমুখি।
এতে চোরাই পথে আনা ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দর কমার কারণেও দেশের বাজার নিম্নমুখি বলে জানান তিনি।
সেকান্দর জানান, মসলার বাজারে শুকনো মরিচ ছাড়া অন্য সব পণ্যের বাজার নিম্নমুখি। এক সপ্তাহ আগে শুকনো মরিচ ১৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হলেও বুধবার বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়।
এছাড়া ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে আমদানি করা প্রতি কেজি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ এবং দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা দরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাত দিনের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে বুধবার প্রতি কেজি গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯১৫ থেকে ৯২৫ টাকায়। ভারতের মিষ্টি জিরা ১৩৫, মিশরের ১৪৫ টাকায়।
Discussion about this post