তনয় কে. সাহাঃ
১২/০২/২০১৯, গরুকে কেন্দ্র করে বিজিবি কর্তৃক সংগঠিত অনাকাঙ্ক্ষিত বর্বরোচিত হামলার শিকার ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের মানুষ। জয়নুল নামের ১২ বছরের এক বালক, ২৭/২৮ বছরের নবাব নামের এক দুরন্ত যুবক এবং সাদেক নামে এক মধ্য বয়সী কৃষক এর রক্তে রঞ্জিত পিচ ঢালা পথ!! রক্ত সত্যিই এখনো শুকোই নি!! সেই সাথে কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা রেহায় পায়নি বিজিবির নিষ্ঠুর অস্ত্রের মুখ থেকে। দেয়ালে গুলির চিহ্ন এখনো অক্ষত আছে, সেই সাথে অক্ষত রবে সেই ভয়াল দৃশ্য গ্রামবাসীর কাছে।
ঘটনা টা ঐ দিনেই মিডিয়ায় কল্যানে আমি এবং আমরা প্রাপ্ত হই। শিউরে উঠেছিলাম। আমাদেরই টাকায় কেনা অস্ত্র/গুলি আমাদেরই উপর চালানো হলো!? পরদিন সকালেই মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট জনস্বার্থে রিট দায়ের করি। আদালতের নিকট প্রার্থনা করি -ন্যায় বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ – যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এখন সুপ্রিম কোর্ট অবকাশকালীনে – তখন স্বচক্ষে দেখতে আমি নিজেই হাজির হয়েছিলাম সেই গ্রামে, সেই স্থানে, সেই মানুষ গুলোর পরিবারে। প্রচন্ড ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। প্রায় সকলেই – ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষ। একমাত্র উপার্জনের যোগ্য মানুষটি কে হারিয়ে কিংবা বিছানায় কাতরানো অবস্থায় রেখে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছে। দু জন এখনো হসপিটালে মৃত্যুর সাথে লড়াইরত। বাড়িতে খাবার যোগাড়ের জন্য পয়সা টুকুও নেই- আবার ঔষধের যোগান!! ?? মানুষ গুলোর আর্তনাদ আমার হৃদয় কে ক্ষতবিক্ষত করেছে – করছে। যা আপনি স্বচক্ষে দেখলেও সহ্য করতে পারবেন না বলে বিশ্বাস করি।
মহামান্য আদালতের আদেশ কবে হবে? মানুষ গুলোর কপালে কি আছে?- জানিনা। তবে অসহায়,আর্তনাদরত মানুষগুলোর কাছে আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে কিছু আর্থিক সাহায্য (আনুমানিক-৬ লক্ষ টাকা মাত্র) নিয়ে দাড়াতে চাচ্ছি। আমার একারপক্ষে এতো সামর্থ্য নেই। আপনাদের সকলের স্বেচ্ছা সহযোগিতা কামনা করছি। আর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হচ্ছি – সঠিক ভাবেই আপনাদের সহযোগিতা তাদের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যাবে।
– ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) পারসোনালঃ ০১৭২২০৭৫০৭৬৬
– তনয় কুমার সাহা, এক্সিম ব্যাংক, পল্টন ব্রাঞ্চ, সেভিংস একাউন্ট নং- ৪৫১২১০০০৭৫৮৮৬
বিঃদ্রঃ সহযোগিতা পাঠানোর শেষ তারিখঃ ০৪/০৪/২০১৯
(তথ্যের জন্য- ০১৭২২০৭৫০৭৬)
প্রতিবেদকঃ আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
Discussion about this post