নিহতের মেঝো ছেলে আবু সাইদ জানান, বাবার মৃত্যুর পর তারা চার ভাই পৃথকভাবে সংসার শুরু করেন। এর মধ্যে ছোট ভাই আবু বক্কার ও তাদের মা আলতাফুন্নেছা এক সংসারে থাকেন। তাদের অভাব অনটনের সংসার।
তিনি আরো জানান, আবু বক্কার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করে আসছেন। মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে আবু বক্কার। এ অবস্থায় মাদকদ্রব্য কেনার টাকা চেয়ে না পেলে মাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো।
সোমবার (১২ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে মায়ের কাছে মাদকদ্রব্য কেনার টাকা চায় আবু বক্কার। কিন্ত মায়ের কাছে টাকা না থাকায় তিনি তা দিতে পারেনি। এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন আবু বক্কার। একপর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করার বাঁশের লাঠি দিয়ে তিনি মায়ের মাথায় আঘাত করেন। এতে মা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় অচেতন মাকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে আলতাফুন্নেছা খাতুনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, মায়ের মৃত্যুর সংবাদ জানার পর আবু বক্কার পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এ ঘটনায় ধুনট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Discussion about this post