মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ভোলার সিনিয়র সহকারী জজ (সাময়িক বরখাস্তকৃত) জাবেদ ইমামের জামিন শুনানি দ্বিতীয় দফা পেছালো। পরবর্তী জামিন শুনানির জন্য ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতে জামিন শুনানির জন্য গতকাল বুধবার (৩১ আগস্ট) ধার্য দিন ছিল। হাইকোর্টের আদেশের মূলকপি না পাওয়ায় তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে ঢাকা দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শামসুন্নাহারের আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে জামিন শুনানির জন্য ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন জাবেদ ইমাম। হাইকোর্টের আদেশের মূলকপি না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ২৪ আগস্ট নির্ধারণ করেন। ২৪ আগস্টও মূলকপি না পাওয়ায় আবারো সময়ের আবেদন করলে আদালত ৩১ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে ৭ আগস্ট জাবেদ ইমামকে হাইকোর্ট থেকে খালাস করে দেয়া রায় স্থগিত করে সাতদিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত রাষ্ট্রপক্ষের এক লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে ওইদিন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে ব্যাগভর্তি ৩৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয় জাবেদ ইমামকে। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বাদী হয়ে মাদক আইনে ওইদিনই মামলা করেন।
একই বছরের ২০ ডিসেম্বর জাবেদ ইমামকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট জাবেদ ইমামকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জাবেদ ইমাম।
শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে বিচারক জাবেদ ইমামকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের এই খালাসের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করেন।
২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী বিচারক জাবেদ ইমাম ২০০৮ সালে সহকারী জজ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১২ সালের নভেম্বরে তাকে যশোর থেকে ভোলায় বদলি করা হয়েছিল।
Discussion about this post