মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) চিন্ময় মিত্রকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শামীম আহম্মেদ শুনানি শেষে সোমবার (১৯ জুন) জামিন নামঞ্জুর করে এসআই চিন্ময় মিত্রকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসআই চিন্ময় মিত্র বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশে কর্মরত।
আদালতের (জিআরও) এসআই শম্ভু কান্তি লাল মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই নগরীর কাশিপুর থেকে নিধু মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তিকে ৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান আহম্মেদ বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলামের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নিধু।
তিনি জবানবন্দিতে বলেন, উদ্ধার করা ফেনসিডিল বিক্রির জন্য এসআই চিন্ময় তাকে সরবরাহ করেছিলেন। নিধু এসআই চিন্ময়ের মাসিক বেতনভুক্ত মাদক বিক্রেতা। শুধু ফেনসিডিল নয়, এসআই চিন্ময় মিত্র দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে তা বেতনভুক্ত কর্মচারীদের মাধ্যমে বিক্রি করাতেন। বরিশাল নগরীসহ আশপাশে চিন্ময়ের নিয়োজিত বেতনভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন নিধু আদালতকে অবহিত করেন।
বরিশাল মহানগর ডিবি পুলিশের এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে এসআই চিন্ময় মিত্র মাদক ব্যবসা শুরু করেন বলে আদালতকে অবহিত করেন নিধু মিস্ত্রি। ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মেট্রোপলিটন ডিবির এসআই রেজাউল ইসলাম মামলার প্রধান আসামি নিধু মিস্ত্রি, ২নং আসামি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশে কর্মরত বরিশাল মেট্রো ডিবির সাবেক এসআই চিন্ময় মিত্র, ৩নং আসামি মো. বেল্লাল, ৪নং আসামি রুবেল হোসেন ব্যাপারী ও ৫নং আসামি মিথুন করকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। একই বছরের ২২ ডিসেম্বর বিচারক চার্জশিট আমলে নিয়ে এসআই চিন্ময় মিত্র’র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু ওয়ারেন্ট জারির পর থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশে কর্মরত থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। ওই মামলায় সোমবার আত্মসমর্পণ করলে এসআই চিন্ময় মিত্রকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
Discussion about this post