এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে জেলা প্রশাসন। ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী একটি বাস থেকে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তার মোবাইলে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নের মিল পাওয়া গেছে। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক শিক্ষার্থীর নাম জোবায়দুর। তিনি ঢাকার উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ঈগল পরিবহনের একটি বাসে তিনি ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাচ্ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার কুয়াকাটাগামী ঈগল পরিবহের একটি বাসে যাত্রী ছিলেন জোবায়দুর। ওই বাসেই যাত্রী ছিলেন এনজিওকর্মী জন লিটন বৈরাগী। একপর্যায়ে লিটন বুঝতে পারেন, জোবায়দুর তার মোবাইল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলামের মোবাইলে কল করে বিষয়টি অবহিত করেন।
এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনসহ পুলিশ নিয়ে মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম। তারা ঈগল পরিবহনের ওই বাসটি থামান। পরে জোবায়দুরকে আটক করে তার মোবাইল যাচাই করে প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা পাওয়া যায়। তার মোবাইলে থাকা প্রশ্নের সঙ্গে আজকের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। প্রশ্নেও সঙ্গে উত্তরও ছিল জোবায়দুরের মোবাইলে।
জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টাকারী জোবায়দুর উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করছিল। আটক জোবায়দুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
Discussion about this post