জামালপুর পৌর শহরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. ছানোয়ার হোসেন (৫২) নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শিশুটির নানা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জামালপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষণ ও শিশুকে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে করা মামলায় মো. ছানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলা, পুলিশ ও শিশুর পরিবার সূত্র জানা গেছে, মো. ছানোয়ার হোসেন পৌর শহরের বাগেরহাটা এলাকার বাসিন্দা। তিনি সদর উপজেলার হাজিপুর বাজার শাখা অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার। ১০ বছর আগে শিশুটির বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। শিশুটির মা শিশুর ছোট বোন ও নানাকে নিয়ে চার বছর ধরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার শহরের নিজ বাড়ির নিচতলায় ভাড়াটে হিসেবে আছেন। বাসার মালিক মো. ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিক্ষকতা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা অভিযোগ অনুযায়ী, বাসায় দিনের বেলায় কোনো লোকজন না থাকার সুযোগে ছানোয়ার শিশুটিকে ফুসলে নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত জুন থেকে তা চলে আসছিল। শিশুটি একপর্যায়ে অসুস্থ হলে গত ২০ ডিসেম্বর চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা করে শিশুটি সন্তানসম্ভবা হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পরিবার। ওই পরিবার মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিমের সহযোগিতায় গতকাল শিশুটির সব ঘটনা জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রওনক জাহানকে খুলে বলে। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে গতকাল সন্ধ্যায় সদর থানায় মামলা করে শিশুটির পরিবার।
গতকাল রাত নয়টার দিকে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শহরের বাসা থেকে ছানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
শিশুটির নানা অভিযোগ করেন, বাসার মালিক মো. ছানোয়ার হোসেন বিভিন্ন সময় তাঁর নাতনিকে ডেকে দ্বিতীয় তলার বাসায় নিয়ে যেতেন। তাঁরা কোনো দিন এ বিষয় কল্পনাও করতে পারেননি। বাসার মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় নাতনিকে তাঁর অপকর্মের কথা বলতে নিষেধ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। মামলা করার পর থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে রাস্তাঘাটে তাঁদের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন।
Discussion about this post