যশোরের শার্শা উপজেলায় এক হাফিজিয়াখানা মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা জানাজানির পর থেকে পলাতক রয়েছেন উপজেলার খাদিজাতুল কোবরা মহিলা হাফিজিয়াখানা মাদ্রাসার শিক্ষক আলতাফ হোসেন (৪২)।
এদিকে, এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ওই ছাত্রীর স্বজনেরা ধর্ষণ শিক্ষকের বাড়িঘর ও মাদ্রাসা ভাঙচুর করেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আলতাফ হোসেন উপজেলার আমলা গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক ঢালীর ছেলে ও হাফিজিয়াখানা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। বিভিন্ন এলাকার মেয়েরা এ মাদ্রাসায় চুক্তিতে দিন-রাত অবস্থান করে কোরআন শিক্ষা নেয়।
স্থানীয় গোঁগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, তিনি ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, তিনি ওই ধর্ষিত ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানতে পারেন, আলতাফ হোসেনও তার স্ত্রী নিজ বাড়িতে ছোট-ছোট কিছু ঘর তৈরি করে হাফিজিয়াখানা বানিয়ে সেখানে ছাত্রীদের রেখে কারআন শিক্ষা দিতেন। গত দুই মাস ধরে কৌশলে আলতাফ হোসেন মেয়েটিকে হাফিজিয়াখানার পাশে রান্নাঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে আসছেন। সোমবারও মেয়েটিকে ধর্ষণের পর সে বাধ্য হয়ে অন্য ছাত্রীদের জানায়।
এ ঘটনা জানার পর মেয়েটির বাবা ইউনিয়ন পরিষদে এসে বিচার চাইলে ওই শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু এর আগেই তিনি সটকে পড়েন। পরে এলাকাবাসী ও স্বজনেরা গিয়ে ওই শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর করেন।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মেয়েটিকে বাঁগআচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য যশোরে পাঠানো হবে।
Discussion about this post