একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি এমএ হান্নান ও সাবেক এমপি আনিসুর রহমান মানিকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের ৩নং আমলি আদালতে ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিটফুল ইসলাম মামলাটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- ত্রিশালের কানিহারী দেওপাড়ার শামসুল হক বাচ্চু, মোখলেছুর রহমান মুকুল, সাইদুর রহমান রতন, আব্দুল খালেক সরকার, মোর্শেদ আলী, তালতলার মাওলানা মো. তফাজ্জল হোসেন, ইব্রাহিম মিয়া, হোদ্দার ভিটার রাজাকার কমান্ডার আদিল, মৃত গেদু চেয়ারম্যান, সামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, নজরুল ইসলাম ফকির, কাঠাল এলাকার মুকুল মাস্টার, মৃত আসমত আলী ফকির, মৃত আব্দুল লতিফ চেয়ারম্যান, কফিল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, কানিহারীর মৃত মাওলানা আব্দুল খালেক, কানহর এলাকার মৃত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক, মৃত মো. ফারুক, বাড়ইগাঁও এলাকার খাদেম আলী ও কুষ্টিয়া এলাকার মৃত বাদল মিয়া। এদের মধ্যে ৮ জনই ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল ত্রিশাল উপজেলার কালির বাজার ও কানিহারী (বর্তমানে আহাম্মদাবাদ) স্কুলে রাজাকাররা ক্যাম্প স্থাপন করে। এ সময় উক্ত মামলার আসামিরা নারী নির্যাতন, লুটপাট, ধর্মান্তরিত করাসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক ইউনুস আলী ইনু, আব্দুল হামিদ, গোলাম রসুল, আব্দুস ছামাদ, মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলীসহ শতাধিক মানুষকে হত্যা করে। এর মধ্যে ৫৭ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। এছাড়াও অসংখ্য মানুষকে ধরে নিয়ে এই ক্যাম্পে নির্যাতন করে।
আরজিতে মামলার বাদী আবুল কালাম নিজেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আঞ্চলিক সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। বাদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আল-হোসাইন তাজ মামলাটি আদালতে উপস্থাপন করেন।
Discussion about this post