মামলাজট থেকে বিচার প্রার্থীদের রক্ষা করতে দেশে সান্ধ্য আদালত চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে সাভারের খাগানে অবস্থিত ব্র্যাক সেন্টারে সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত ‘অধস্তন আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিচারিক কাজের যথাযথ মূল্যায়ণ ও সাফল্য নির্ধারণের মানদণ্ড নিরূপন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে বিচারক আছেন মাত্র ১৫শ’ জন। এছাড়া বিচারকক্ষের স্বল্পতা আছে। ১৭৩ জন বিচারককে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হয়। যে কারণে জটে আটকে রয়েছে ত্রিশ লাখ মামলা। এসব মামলা নিষ্পত্তিতে আইনজীবী ও সরকারের সাড়া পাওয়া গেলে অচিরেই দেশে সান্ধ্য আদালত চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য আমাদের সংবিধান পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। আমরা যেকোনো মূল্যে এই সংবিধানের মর্যাদা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংশোধনীতে আইন ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
ইউএস এইড’র সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশ নেন।
Discussion about this post