মামলা-মোকদ্দমার বাদী বা বিবাদীরা আদালতে বা আইনজীবীদের টেবিলে প্রায়শই একটি লাল মলাটের খাতা দেখতে পান। এটিই ওই আদালতের মামলার কজলিষ্ট। কজলিষ্টে সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর নং, আগামী ধার্য্য তারিখ, মামলার পর্যায় বা আদেশ বা রায় ও বাদী-বিবাদীর নাম লেখা থাকে।
বাংলাদেশের মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট-হাইকোর্ট থেকে শুরু করে ট্রাইব্যুনালে, জজ বা ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রত্যেকটি আদালতে একই আদলের এই ‘মামলার কজলিস্ট’ আছে। মামলার কজলিস্ট সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত। মহামান্য হাইকোর্টের অধীনে সরকারি মুদ্রণালয় থেকে মুদ্রিত।
যে কোনো মামলার যে কোন বাদী-বিবাদী আদালতে থাকা মামলার কজলিস্ট দেখে নিজের মামলার নং, বিচারের পর্যায় ও পরবর্তী ধার্য তারিখ জেনে নিতে পারেন।
ফৌজদারী মামলায় আসামি জামিনে মুক্তি অথবা মামলার দায় হইতে অব্যাহতি বা খালাসপ্রাপ্ত হলে, সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যথা- বিজ্ঞ বিচারক বা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা বেঞ্চ সহকারী, অফিস সহকারী, স্টেনোগ্রাফার, সেরেস্তাদার, নাজির, সিএসআই অথবা জিআরও কর্তৃক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কিংবা দায়িত্বশীল অফিসার বরাবর প্রেরিত পত্রই হলো মামলার ‘রি-কল’। মামলার আসামির জন্য থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা সাজা পরোয়ানা অথবা অন্য কোন প্রসেসে জারি করা থাকলে এবং ওই আসামি কথিত মামলায় জামিন বা অব্যাহতি বা খালাসপ্রাপ্ত হলে, যে একটি পত্র বা পরোয়ানা থানার ওসি বরাবরে পাঠানো হয়, তাহা ‘রি-কল’ নামেই পরিচিত।
‘মামলার রি-কল’ বা পরোয়ানা ফেরৎ পত্রে আদালতের নাম, মামলা নং, ধারা, জামিনপ্রাপ্ত আসামির নাম-ঠিকানা, জামিনের তারিখ, আদালতের সিল মোহর ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সিল-স্বাক্ষর দেয়া থাকে।
Discussion about this post