মামলা থাকায় সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট অপসারণের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেছেন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিদ্যালয় টিম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মালিকানাধীন রাজধানীর ১৪টি মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে এ ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট অপসারণের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মামলা থাকায় অপসারণ কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে।
সোমবার (০৬ মার্চ) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, ডিএনসিসি’র মালিকানাধীন ১৪ ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর প্রত্যেক বরাদ্দ গ্রহীতা এবং মালিক সমিতির সভাপতি/সম্পাদককে লোড নিয়ন্ত্রণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। মার্কেটে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী পর্যায়ে সতর্কতা অবলম্বনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো হচ্ছে- গুলশান (উত্তর) পাকা মার্কেট, গুলশান (উত্তর) কাঁচা মার্কেট, গুলশান (দক্ষিণ) পাকা মার্কেট, গুলশান (দক্ষিণ) কাঁচা মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা সুপার মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা কাঁচা মার্কেট, কারওয়ানবাজার ১ নং ভবন মার্কেট, কারওয়ানবাজার ২ নং ভবন মার্কেট, কারওয়ানবাজার কিচেন মার্কেট, কারওয়ানবাজার কাঁচা মালের আড়ৎ মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা মার্কেট, গাবতলী প্রান্তিক সুপার মার্কেট ও কলমি তলা কাঁচা মার্কেট।
মন্ত্রী জানান, মেয়রের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএনসিসি’র মালিকানাধীন ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর ঝুঁকিপূর্ণতার বিবরণ, ডিএনসিসি’র নেওয়া পদক্ষেপ ও তার ক্ষতিকর দিক উপস্থাপন করে প্রত্যেক মার্কেটের বরাদ্দ গ্রহীতা ও মার্কেট সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো অপসারণের মাধ্যমে নতুন মার্কেট পুনর্নির্মাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Discussion about this post