গোপন তথ্য ‘চুরি’র অভিযোগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)-র এক গোয়েন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওইসব সরকারি দলিল ফাঁস হলে মার্কিন সরকারের নজরদারির অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশিত হয়ে পড়তো।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার নাম থমাস মার্টিন (৫১)। তিনি বুজ অ্যালেন হ্যামিলটনে কাজ করতেন। তাকে চলতি বছরের আগস্টে ম্যারিল্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাপী মার্কিন নজরদারির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে আলোড়ন সৃষ্টি করা সাবেক এনএসএ কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনও বুজ অ্যালেনে কাজ করতেন। এটি একটি পরামর্শক সংস্থা।
বুজ অ্যালেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের এক কর্মীকে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) গ্রেফতার করেছে জানা মাত্রই তারা ওই কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে।
বুধবার মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত অতি-গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ আনা হয় মার্টিনের বিরুদ্ধে।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া, চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং অন্যান্য দেশের কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য তৈরি করা অতি-গোপন কম্পিউটার ‘সোর্স কোড’ চুরি হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করছে এফবিআই। ধারণা করা হচ্ছে, এর ওই ‘সোর্স কোড’ চুরির সঙ্গে মার্টিন জড়িত থাকতে পারেন।
স্নোডেন মার্কিন নজরদারির গোপন তথ্য ফাঁসের পর থেকে এটিই হতো সবচেয়ে বড় ফাঁস। স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্যে দেখা যায়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইবার নজরদারি চালাচ্ছে। বৃহৎ ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
মার্টিনের ওপর অভিযোগ করা হয়, তিনি সংবেদনশীল গোয়েন্দা তথ্য নিজের হাতে রেখেছিলেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সংবেদনশীল সূত্রের ছয়টি গোপন দলিল মার্টিনের হাতে ছিল। যার সঙ্গে জড়িত জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, মার্টিনের সরকারি গোপন তথ্য দেখার অধিকার ছিল, কিন্তু তা নিজের কাছে বা বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার অধিকার তার ছিল না।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মার্টিনের আইনজীবীর সঙ্গে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মার্টিনের ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স।
Discussion about this post