আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালদ্বীপের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদীবকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। অবৈধভাবে একটি টাগবোটে করে ভারতের তামিলনাডু রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় বন্দরশহর ঠুথুকুডিতে প্রবেশ করার সময় তাকে আটক করে দেশে ফেরত পাঠায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গেফতারকৃত আদীব চলতি মাসের প্রথমদিকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
ভারত তাকে সে দেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার পর শনিবার মালদ্বীপ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রাজধানী মালেতে নিয়ে যায়। পরে এক টুইটার পোস্টে মালদ্বীপ পুলিশ বলেছে, আমরা নিশ্চিত করছি যে আহমেদ আদীব আব্দুল গফুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আমাদের হেফাজতে তাকে মালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অবৈধভাবে একটি টাগবোটে করে ভারতের তামিলনাডু রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় বন্দরশহর ঠুথুকুডিতে প্রবেশ করেছিলেন আদীব। পরে বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাকে আটক করে দেশে ফেরত পাঠায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ; বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত দুটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় সূত্র দুটি নিজেদের নাম প্রকাশ করেনি।
ঠুথুকুডি বন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আদীবকে একটি জলযানে করে ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজের পাহারায় মালদ্বীপে ফেরত পাঠানো হয়।
সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী যে টাগবোটটি আদীবকে বহন করে ঠুথুকুডিতে নিয়ে এসেছিল তাদের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্টকে আটক করে বলে ভারতীয় বন্দর ও পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রবিবার অথবা সোমবারের মধ্যে আদীব মালদ্বীপে পৌঁছবেন বলে আশা করছেন তারা। তবে এ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মালদ্বীপের পুলিশ কর্মকর্তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, ৩৭ বছর বয়সী আদীবকে ২০১৬ সালে মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামীনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার কথিত অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের দায়েও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আদীব। তার সর্বমোট ৩৩ বছর কারাদণ্ডের সাজা হয়েছিল। কিন্তু অযৌক্তিক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণ দেখিয়ে চলতি বছর মালদ্বীপের একটি আদালত সেসব দণ্ডাদেশ বাতিল করে ওই অভিযোগগুলোর বিচার নতুন করে করার নির্দেশ দেয়।
Discussion about this post