নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে পুলিশের গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে পুলিশের এক নারী এএসআইসহ দু্’জন আহত হয়েছেন। রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম রাশেদা আক্তার বাবলি (২৮)। রিকশা চালকের নাম লাল মিয়া (৫০)। আহত অবস্থায় তাদের ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। রাশেদার বাম পায়ে ও লাল মিয়ার মাথায় ককটেলের আহত লেগেছে।
এ বিষয়ে গাড়িচালক কনস্টেবল শফিক বলেন, দুর্বৃত্তরা ফ্লাইওভারের ওপর থেকে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকটি বোমা ছুড়ে মারে। এতে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়। এ সময় আশপাশের দালানের গ্লাসও ভেঙ্গে গেছে বলে জানান ওই কনস্টেবল।
পল্টন থানার এসআই সৈয়দ আলী জানান, মালিবাগ মোড়ে পুলিশের গাড়িটি দাঁড় করানো ছিল। এ অবস্থায় গাড়িটি লক্ষ্য করে বোমা জাতীয় কিছু একটা হয়। বোমাটি গাড়ির পেছনের দিকে আঘাত করেছে। তবে কি বোমা তা এখনি বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তা জানা যাবে।
ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের (সবুজবাগ) সার্জেন্ট এনামুল হক জানান, মালিবাগ মোড়ে ডিউটিরত অবস্থায় পুলিশের গাড়িতে একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে পাশে থাকা এএসআই রাশেদা ও রিকশা চালক আহত হয়। তিনি আরো জানান, রাশেদার বাম পায়ে ও রিকশা চালকের মাথায় আঘাত লেগেছে।
আহত রাশেদা জানান, তিনি রাস্তায় ডিউটিরত ছিলেন। এসময় একটি ককটেল তার পাশেই বিস্ফারণ হয়। এতে তার পায়ে আঘাত লাগে। এসময় পুলিশের গাড়ির পিছনে কিছুটা আগুন ধরে যায়।
আহত লাল মিয়া (৫৫) জানান, তার বাসা তেজকুনি পাড়ায়। রিকশা নিয়ে মালিবাগ মোড়ে বসে ছিলেন। এমন সময়ে বিস্ফোরণ হয়। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে। তবে বিস্ফোরকটি কে বা কারা নিক্ষেপ করেছে তা দেখতে পারেননি তিনি।
পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার তদন্ত হচ্ছে: মনিরুল ইসলাম
রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি নাশকতার উদ্দেশে হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
রবিবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিস্ফোরকটি ছুড়ে মারা হয়েছে, নাকি আগে থেকে প্ল্যান করে রাখা হয়েছিল। তা জানতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে। তারা পরে বলতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘এখানে পাশেই রয়েছে এসবি অফিস ও সিআইডি অফিস। এই মোড়ে সবসময় পুলিশের গাড়ি স্ট্যান্ডবাই থাকে। তাই বিষয়টি নাশকতার উদ্দেশে হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ এ ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তা সুনির্দিষ্টভাবে এখনও বের করা সম্ভব হয়নি তবে তদন্ত শেষ হবার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
এর আগে রাজধানীর গুলিস্তানে আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে হওয়া হামলার ঘটনার সঙ্গে মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার কোনও মিল আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুলিস্তানের ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তা সুনির্দিষ্টভাবে এখনও বের করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা ঠিক হবে না।
Discussion about this post