মির্জা ফখরুলকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে ভর্তিতে ‘নিস্ক্রিয়তা’ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও দিয়েছে আদালত।
বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে বলে আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার একে এম এহসানুর রহমান জানান।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক আইজি প্রিজন, ডেপুটি আইজি প্রিজন, ঢাকা জেলা প্রশাসক, কাশিমপুর কারাগারের জেলার ও ডেপুটি জেলারকে এই আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মাহবুব উদ্দিন খোকন; তার সঙ্গে ছিলেন এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রাহাত আরা বেগম সোমবার করা এই আবেদনে বারডেম হাসপাতালে স্বামীর চিকিৎসা চেয়েছিলেন।
তার আইনজীবী এহসানুর রহমান বলেন, “গত ৭ জানুয়ারি মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সাতটি মামলার মধ্যে একটিতে তিনি জামিনে আছেন। তিনটির রুল জামিন শুনানির অপেক্ষায় এবং আরও তিনটি শুনানির জন্য উচ্চ আদালতে রয়েছে।
“তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এর আগেও তার একটি মাইনর অ্যাটাক হয়েছে। একারণে তার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়।”
নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ফখরুলকে। গত ৮ জানুয়ারি তাকে পাঠানো হয় কাশিমপুর কারাগারে।
গ্রেপ্তারের পর তাকে দুইবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সর্বশেষে গত ৫ মে ফখরুলকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তার অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ বলে জানান।
Discussion about this post