বিডি ল নিউজঃ বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির (মিল্ক ভিটা) ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানসহ সাতজনকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রতিষ্ঠানটির ৫০০ অস্থায়ী শ্রমিককে তালিকাভুক্তির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নথিভুক্তির মাধ্যমে তাঁদের দায়মুক্তি দিয়েছে দুদক। দুদকের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র আজ রোববার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, গত বছরের জুনে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকে আসা অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যাঁরা মিল্ক ভিটায় অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন, তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয় এবং সমবায় অধিদপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে লক্ষ্যে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির দায়িত্ব নির্ধারিত ছিল ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে সুপারিশ করা। এমডিই নিয়োগ কমিটির সুপারিশ যাচাই-বাছাই করে শ্রমিকদের তালিকাভুক্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে নির্দেশনা ছিল। কিন্তু নিয়োগ কমিটি এমডির কাছে তালিকা পাঠিয়েই ওই বছরের ১৭ এপ্রিল ৫০০ শ্রমিকের নাম চূড়ান্ত করে।
শ্রমিকদের মধ্য থেকে অভিযোগ ওঠে, তালিকাভুক্ত করতে ঘুষ হিসাবে প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে এক থেকে তিন লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় ঘুষ এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল মিল্ক ভিটার শ্রমিকেরা সংস্থার প্রধান কার্যালয় এবং মিরপুর দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় বিক্ষোভ করেন। শ্রমিকেরা দুদকে অভিযোগ করেন ৫০০ শ্রমিকের মধ্যে অন্তত ১৫০ জন শ্রমিক আছেন, যাঁরা ২০০৮ সালের পর মিল্ক ভিটায় কাজ শুরু করেছেন। আবার এঁদের অনেকেই আছেন যাঁরা কোনো দিন মিল্ক ভিটায় কাজই করেননি।
অভিযোগটি অনুসন্ধান করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম। তাঁর প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই শফিকুর রহমানসহ সাতজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।”প্রথম আলো
Discussion about this post