৫৭ বছর বয়সে চাকরি থেকে অবসরে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ পাওয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুল খালেককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দুই বছরের সব সুযোগ-সুবিধা দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ জাহাঙ্গীর। রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন ড. রফিকুর রহমান ও হাসনাত কাইয়ুম।
২০১০ সালের ০১ সেপ্টেম্বর আবদুল খালেক পিআরএল-এ যান। দেড়মাস পরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ১৪ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এরপর তাকে একই বছরের ০২ নভেম্বর সাময়িক সনদপত্র দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
যাচাই-বাছাই শেষে ২০১১ সালের ১৫ মে তাকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়। এরপর তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাড়তি দুই বছরের সুবিধা পেতে আবেদন করেন। কিন্তু তাকে সুবিধা না দিয়ে ২০১০ সালের ০১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পিআরএল মঞ্জুর করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ২০১১ সালে রিট আবেদন করেন আবদুল খালেক। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৪ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২ বছরের সুবিধা না দিয়ে পিআরএল-এ পাঠানো অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে বাড়তি দু’বছরের সব সুবিধা দিতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল বিভাগে আবেদন করে। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রোববার হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
এ রায়ের ফলে যেসব মুক্তিযোদ্ধা ৫৭ বছর বয়সে চাকরি থেকে অবসরে গেছেন তারা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া সনদ দেখাতে পারলে বাড়তি দুই বছরের সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
Discussion about this post