৪০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী নিজের গলায় ছুরি দিয়ে পোঁচ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশের ধারণা, ক্যারিয়ারের ব্যর্থতাই ছিল তার আত্মহত্যার কারণ।
পুলিশ বলছে, মুম্বাইয়ের আন্ধেরি এলাকায় এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন শিখা। ১৬ মে সন্ধ্যায় বাথরুমের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বাথরুম বন্ধ থাকায় তাকে ডাকাডাকি করেন তার বান্ধবী। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে শিখাকে রক্তাক্ত অবস্থায় আবিষ্কার করেন তিনি।
কিন্তু তখনও সচেতন ছিলেন শিখা। তার বান্ধবী তাকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে যাওয়ার পর থাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শিখার বান্ধবী জানান, হাসপাতালে যাওয়ার পথে তিনি শিখাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তার আত্মহত্যার কারণ। শিখা জানান, অনেকদিন ধরে কোনো কাজ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন শিখা।
ময়নাতদন্ত শেষে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
স্থানীয় থানার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বড় একটি পোঁচের দাগ ছাড়াও আরও তিনটি ছোট পোঁচের দাগ পাওয়া গেছে শিখার গলায়, যা আত্মহত্যার ইঙ্গিত দেয়।
ওদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে শিখাকে উত্ত্যক্ত করছিলেন তার কসমেটিক সার্জন ডাক্তার বিজয় শর্মা। ২০১১ সালে ডাক্তার শর্মার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করেছিলেন শিখা, যার ফলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Discussion about this post