আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ড ও অর্থ জোগান দেয়ার অপরাধে নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যেবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের আদালত। পাশাপাশি তাকে উভয় মামলায় ১৫ হাজার রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে। লস্কর প্রতিষ্ঠাতা এবং দাওয়ার প্রধান হাফিজের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে ২৩টি মামলা রয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের সন্ত্রাস দমন আদালত হাফিজকে জঙ্গি তৎপরতায় অর্থ দেয়ার দুটি মামলায় অভিযুক্ত করেছেন।
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই হামলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে হাফিজ সাঈদের লস্কর-ই-তৈয়্যেবা এবং জামাত-উদ-দাওয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাঞ্জাবের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ মানি লন্ডারিং এবং জঙ্গিদের অর্থায়নের দায়ে হাফিজের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে পাঞ্জাব পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগের (সিটিডি) সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন। সেখান থেকে আদালতে নিয়ে গেলে আদালত তাকে লাহোরের উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে পাঠান।
এর আগে ২০১৭ সালে হাফিজ সাইদ এবং তার চার সহযোগীকে সন্ত্রাসবাদ আইনে পাকিস্তান সরকার আটক করেছিল। কিন্তু প্রায় ১১ মাস পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সাঈদের আইনজীবী ইমরান গিল জানান, দুটো মামলার দণ্ড মিলিয়ে মোট কারাদণ্ড হয়েছে ১১ বছরের। তবে দুটো দণ্ডই এক সময়ে চলমান থাকার কারণে সাঈদকে কারাভোগ করতে হবে সাড়ে পাঁচ বছর। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে চার দিন ধরে চালানো জঙ্গি হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।
হামলার জন্য ভারত হাফিজ সাঈদ নেতৃত্বাধীন জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বাকে দায়ী করে আসছিল। তবে জামায়াত প্রধান হাফিজ বারবার মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
Discussion about this post