চিকিৎসার নামে মৃত শিশুর মরদেহ আইসিইউয়ে আটকে রেখে টাকা আদায়ের ঘটনায় জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালককে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১০ মার্চ তাদেরকে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে র্যাবের জরিমানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন ম্যাজিস্ট্রেটকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশের কপি প্রকাশ পাওয়ার পর এসব তথ্য জানান আইনজীবীরা।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্ব-প্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল তাদের কিন্তু হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ আদেশ লিখেতে দেরি করায় তা পিছিয়ে আবার ১০ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করার হয়।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত দু’টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান ও ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। এরপর আদালত তলবাদেশসহ রুল জারি করেন।
তৌফিক ইনাম টিপু জানান, রুলে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে কেন মামলা করা হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি মৃত শিশুকে ভর্তি রেখে টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের দায়ে অভিযান চালিয়ে র্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর ঝিগাতলার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতালের ছয়জনকে আটক করে। একইসঙ্গে হাসপাতালটিকে তৎক্ষণাৎ সাড়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
আদালতের নির্দেশে আটক ছয়জন হলেন, নজরুল ইসলাম, ডা. শরিফুজ্জামান, মো. কাওসার, মোছা. লিজা, মনতেশ মন্ডল ও সুমন মন্ডল।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে এক বছর ৪ মাসের একটি শিশু মারা গেলেও কর্তৃপক্ষ তাকে জীবিত দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
Discussion about this post