জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা লুকিয়ে চিকিৎসার নামে অর্থ আদায়ে র্যাবের দায়ের করা মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে অভিযান পরিচালনায় অংশগ্রহণকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনকে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজগুলো দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ হাসপাতালের চেয়ারম্যানকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিকেও আদালতে উপস্থিত থেকে আদালতের দেওয়া রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি জাপান বাংলাদেশ হসপিটালে শিশুটি মারা যাওয়া বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। আদালত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো আমলে নিয়ে রুল জারি করেন। তাতে বলা হয়, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের দায়িত্ব পালনের অবহেলাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, শিশুটি মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের বিরুদ্ধে কেন নিয়মিত ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে না এবং নিহত শিশুটির পরিবারকে কেন আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলের জবাবে তা ১০ মার্চের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত হন। তারা এ ঘটনায় হলফনামা আকারে জবাব দিতে সময়ের আবেদন করলে আদালত আগামী ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেন। সেদিন হলফনামা দাখিলের পর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন বলে জানান আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জিগাতলায় বেসরকারি এই হাসপাতালে অভিযানে গিয়ে একটি নির্জন কক্ষ থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
Discussion about this post