সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘মেডিকেল পরীক্ষা ফাঁসকৃত প্রশ্নে নেওয়া হয়েছে এটি দেশবাসীর কাছে পরিস্কার। সরকার তাদের ব্যর্থতাকে আড়াল করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিকে উপক্ষো করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবি আদায়ে পিছ পা হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। ’
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ২০০৬ সালের পর এবার এত বড় মাত্রায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। যারা দিনে ১৭-১৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল, তারা আজ পরাজিত হয়ে গেছে অসৎ লোকের অর্থশক্তির কাছে। তাদের স্বপ্নের সঙ্গে করা হয়েছে প্রতারণা। তাদের স্বপ্ন আর পরিশ্রম বৃথা গেছে। স্বাস্থ্য খাতে চলে আসা এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান এবং আমাদের প্রাণের দাবি ফাঁসকৃত প্রশ্নে নেয়া পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেয়া হোক।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আফিস আরফিন, রাফিউল আলম, আরাফাত হোসেন, মুন্নি আক্তার, তাহিয়া তাসলিম।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হয়, যাতে অংশ নেন ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে ফল ঘোষণা করেছে, তাতে ভর্তির যোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে ৪৮ হাজার ৪৪৮ জন।
এ পরীক্ষার ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসে’ জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে পরীক্ষার্থীরা। বিএনপিও পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
Discussion about this post