বিডি ল নিউজঃ একমাত্র হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ছাড়া পৃথিবীতে সবাই কম বেশী মিথ্যা বলেছেন। কেউ নিজেকে বাঁচাতে, কেউ শুধু শুধু। তবে, কিছু মিথ্যে থাকে যেগুলো নারীদের জন্য সম্পদের মত হয়ে গেছে। মনে হয় যেন, তাদের ট্রেডমার্ক। এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে প্রায় সব নারীই মিথ্যা বলে থাকেন। কখনো তাঁরা এই মিথ্যা বলেন নিজেকে উপস্থাপন করতে, কখনো প্রিয়জনকে অন্যদের চোখে বড় করতে, কখনো কারো ক্ষতি করার জন্য, আবার কখনো একদম বিনা কারণেই! চলুন, নারীদের এমন ১০টি মিথ্যার কথা জেনে নিই।
১) পৃথিবীর অধিকাংশ নারী নিজের বয়স নিয়ে মিথ্যা বলেন। কোন নারীই নিজের সত্যিকারের বয়স জানাতে চান না কাউকে, বিশেষ করে পুরুষদের। বয়স নিয়ে মিথ্যা বলাটা নারীদের সবচাইতে সাধারণ মিথ্যা।
২) নিজের স্বামী বা প্রেমিকার উপার্জন নিয়েও মিথ্যা বলেন অধিকাংশ নারী। তাঁরা বিষয়টি বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলেন। কারণ নারীরা মনে করেন স্বামী বা প্রেমিকের উপার্জন কম এটা সকলে জানলে তাঁদের অসম্মান হয়।
৩) নিজের পরিবার নিয়ে মিথ্যা অহংকার করার অভ্যাস দেখা যায় বেশিরভাগ নারীর মাঝে। বিশেষ করে শ্বশুরবাড়ির সামনে পরিবারকে বড় করতে নানান রকম মিথ্যার আশ্রয় নেন তাঁরা।
৪) অন্যদিকে নিজের শ্বশুর বাড়ির মানুষদের নামে বিভিন্ন রকম মিথ্যা বদনাম করতে নারীদের জুড়ি নেই। বিশেষ করে শাশুড়ির নামে মিথ্যা বদনাম করবেনই নারীরা। যদি বদনাম করার মত অনেক কিছু থাকেও, তবু কিছু বদনাম বাড়িয়ে করবেন।
৫) তাঁকে কত পুরুষ পছন্দ করেন, বা কত পুরুষ তাঁর জন্য পাগল- এই বিষয়ে সর্বদা মিথ্যা বলেন নারীরা। এমনকি যে নারীর জন্য কোন পুরুষই পাগল নন, তিনিও দাবী করেন নানান কাল্পনিক বিষয়।
৬) প্রাক্তন প্রেমিক বা স্বামীর নামে শতত বাদ দিয়েও নানান রকম মিথ্যা বদনাম করেন নারীরা। বিশেষ করে প্রাক্তন পুরুষের নতুন প্রেমিকা বা স্ত্রীর কাছে। খুব শুপ্ত ভাবে হলেও মনে এটাই থাকে যে সম্পর্কটা ভেঙে যাক।
৭) নারীদের সবচাইতে মজার বিষয়টা হচ্ছে, নিজেদের বান্ধবীদের নিয়ে প্রেমিক বা স্বামীর কাছে নানান রকম মনগড়া কথা বলেন তাঁরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা হয় খারাপ বা বদনাম সূচক। উদ্দেশ্য আর কিছুই না, নিজের পুরুষটির আগ্রহ বান্ধবীদের দিক থেকে সরিয়ে রাখা।
৮) নিজের ওজন ও ফুড হ্যাবিট নিয়ে সত্য গোপন করেন প্রতিটি নারী। বিশেষ করে পুরুষদের সামনে!
৯) অধিকাংশ নারীই পরচর্চা করার সময় তিলকে তরমুজ বানিয়ে বলেন, যা এক রকমের মিথ্যাচারই।
১০) নারীরা নিজের অফিসেও কিন্তু মিথ্যা বলেন নানান রকম। কাজে ফাঁকি দেয়ার বাহানা হিসাবে তাঁরা বেছে নেন পারিবারিক সমস্যা, যা অনেক ক্ষেত্রেই হয় মিথ্যা।
সূত্র-এলিট ডেইলি ও সাইকোলজি টু ডে
Discussion about this post