বিডি ল নিউজ: না কোন নাটক বা সিনেমার গল্প নয়, বাস্তব জীবনের গল্প এবং সত্যিকার আদালতের রায় এটি। আজ সোমবার ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার একমাত্র মেয়ে সায়রার অভিভাবকত্ব পেলেন। গত বছর ৩ আগস্ট মেয়ের কাস্টডি চেয়ে বাঁধন মামলা করেছিলেন তিনি।
রায়ে বলা হয়েছে, ‘কন্যাশিশুর অভিভাবক হচ্ছেন মা। মায়ের জিম্মায়ই মেয়ে থাকবে। বাবা মাসে কেবল দুই দিন মায়ের বাসাতে গিয়ে মায়ের উপস্থিতিতে মেয়েকে দেখে আসবেন। কন্যার সর্বোত্তম মঙ্গলের জন্য মায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। অর্থ্যাৎ সাধারণ কাস্টডি নয়, বরং সম্পূর্ণ গার্ডিয়ানশিপ পাবেন মা।’
এই রায়ে আরও বলা হয় ‘কন্যাশিশুকে নিয়ে মা দেশের ভেতরে এবং বাইরে যেতে পারবেন, যেহেতু মা-ই কন্যাশশিুর অভিভাবক।’
এই রায়ের পর দারুণ খুশি বাঁধন। তিনি বলেন, ‘মেয়ের অভিভাবকত্ব পাওয়ার জন্য গত নয় মাস আমি সংগ্রাম করেছি। মেয়েকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি। মাননীয় আদালত সাধারণ কাস্টডি নয়, বরং মেয়ের সম্পূর্ণ গার্ডিয়ানশিপ আমাকে দিয়েছেন।’
এদিকে বাঁধনের আইনজীবী দিলরুবা শরমিন বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশে এই রায় উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমরা মামলাটি কেবল আইন দিয়ে নয়, মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিচালনা করেছি। আমরা আইন ও মানবিক দুইদিক থেকে মামলাটি উপস্থাপন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাশরুর সিদ্দিকী তাঁর মেয়ের পাসপোর্ট আটকে রেখেছেন। আজ আদালত সেই পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন। যদি বাবা তা ফেরত না দেন, তবে বাদীকে থানায় জিডি করতে বলেছেন এবং নতুন পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে আদালত চিঠি ও আদেশ পাঠিয়ে দেবেন বলেও জানান।’
২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বাঁধনের। এরপর গত বছর আগস্ট মাসে বাঁধন অভিযোগ দায়ের করেন। আজ এই রায়ের সময় আদালতে মাশরুর সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন না। তবে তার আইনজীবী ছিলেন। আর কঠিন সময়ে যারা তার পাশে থেকেছেন, সবাইকে আজ ধন্যবাদ জানান বাঁধন।
আরো জানার জন্য, বাচ্চা ছেলে ৭ বছর পর্যন্ত এবং মেয়ে সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত মায়ের অভিভাকত্বের থাকবে।
Discussion about this post